Skip to main content

 শারীরিক মাপ ও শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষা


ওয়েববেজড প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিংয়ে বাছাই করা প্রার্থীদের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত তারিখ, সময় ও স্থানে শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাইকরণসহ শারীরিক সহনশীলতা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এ ধাপে প্রার্থীকে সাতটি ইভেন্টে অংশগ্রহণ করতে হবে। ইভেন্টগুলো হলো: 

  • দৌড়, 
  • লং জাম্প, 
  • হাই জাম্প, 
  • পুশ আপ, 
  • সিট আপ, 
  • ড্র্যাগিং ও 
  • রোপ ক্লাইমিং।


এ ক্ষেত্রে শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষাকে তিন দিনে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে:


প্রথম দিন:

● সব কাগজপত্র (কি কি কাগজপত্র লাগবে তা জানার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অংশ দেখুন) নিয়ে প্রার্থীরা পরীক্ষার ভেন্যুতে উপস্থিত থাকবেন। ভেন্যুতে উপস্থিত হওয়ার পর একটি নির্দিষ্ট স্কেল দিয়ে তাঁদের উচ্চতা মেপে পরীক্ষার মূল ভেন্যুতে প্রবেশ করানো হবে।

● বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত যোগ্যতা অনুযায়ী প্রার্থীদের উচ্চতা, ওজন ও পুরুষ প্রার্থীদের বুকের মাপ পরিমাপ করা হবে।

● প্রার্থীদের কাগজপত্র যাচাই করা হবে।

● শারীরিক মাপ ও কাগজপত্র যাচাই করে সঠিক পাওয়া গেলে প্রার্থীদের যোগ্য ঘোষণা করা হবে এবং প্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ডের এক কপি শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য দেওয়া হবে।

● প্রথম দিনে যোগ্য প্রার্থীদের Physical Endurance Test (PET)–এর সময় জানিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ইনডেমনিটি ঘোষণাপত্রের এক কপি দেওয়া হবে। উক্ত ইনডেমনিটি ঘোষণাপত্রে অভিভাবকের স্বাক্ষরসহ দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পূর্বেই যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিতে হবে।


দ্বিতীয় দিন:

শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষার প্রতি ইভেন্টে আলাদাভাবে কৃতকার্য হতে হবে। কোনো প্রার্থী একটাতে অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হলে সে পরবর্তী ধাপে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

  • প্রথম (দৌড়):: পুরুষ প্রার্থীদের ১৬০০ মিটার দূরত্ব ৭ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে এবং নারী প্রার্থীদের ১০০০ মিটার দূরত্ব ৭ মিনিটে দৌড়ে দিয়ে অতিক্রম করতে হবে।


  • দ্বিতীয় (লং জাম্প): পুরুষ প্রার্থীদের কমপক্ষে ১০ ফুট ও নারী প্রার্থীদের কমপক্ষে ৬ ফুট দূরত্ব জাম্প করে অতিক্রম করতে হবে। এ ধাপে উত্তীর্ণ হতে সর্বোচ্চ তিনবার সুযোগ পাবেন।


  • তৃতীয় (হাই জাম্প): পুরুষ প্রার্থীদের কমপক্ষে ৩ দশমিক ৫ ফুট এবং নারী প্রার্থীদের কমপক্ষে ২ দশমিক ৫ ফুট উচ্চতা জাম্প করে অতিক্রম করতে হবে। এ ধাপেও উত্তীর্ণ হতে সর্বোচ্চ তিনবার সুযোগ পাবেন।


তৃতীয় দিন:


♦ চতুর্থ ইভেন্ট (পুশ আপ) : পুরুষ প্রার্থীদের ৪০ সেকেন্ডে ১৫টি পুশ আপ এবং নারী প্রার্থীদের ৩০ সেকেন্ডে ১০টি পুশ আপ দিতে হবে।

♦ পঞ্চম ইভেন্ট (সিট আপ) : পুরুষ প্রার্থীদের ৪০ সেকেন্ডে ১৫টি সিট আপ এবং নারী প্রার্থীদের ৩০ সেকেন্ডে ১০টি সিট আপ দিতে হবে।

♦ ষষ্ঠ ইভেন্ট (ড্র্যাগিং) : পুরুষ প্রার্থীদের ১৬০ পাউন্ড ওজনের টায়ার টেনে ৩০ ফুট দূরত্ব এবং নারী প্রার্থীদের ১২০ পাউন্ড ওজনের টায়ার টেনে ২০ ফুট দূরত্ব পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে।

♦ সপ্তম ইভেন্ট (রোপ ক্লাইমিং) : পুরুষ প্রার্থীদের কমপক্ষে ১২ ফুট এবং নারী প্রার্থীদের কমপক্ষে আট ফুট রোপ ক্লাইমিং বা দড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে হবে।

 

ইউটিউবে বাংলাদেশ পুলিশের অফিশিয়াল চ্যানেলে ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট পদের নিয়োগ পরীক্ষার ‘সর্বশেষ পরিবর্তিত পদ্ধতি’ নামের একটি অনুশীলন ভিডিও আপলোড করা হয়েছে। এই ভিডিও দেখলে Physical Endurance Test-এর ব্যাপারে ধারণা পাওয়া যাবে।



Comments

Popular posts from this blog

  প্রার্থী বাছাইয়ের ধাপগুলো প্রার্থী বাছাই করা হবে পর্যায়ক্রমে মোট ১১ ধাপে— ১. অনলাইন রেজিস্ট্রেশন, ২. ওয়েববেজড স্ক্রিনিং, ৩. শারীরিক মাপ ও কাগজপত্র যাচাইকরণ, ৪. শারীরিক সক্ষমতা যাচাই বা Physical Endurance Test, ৫. ওয়েববেজড আবেদন ফরম পূরণ, ৬. লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ, ৭. কম্পিউটার দক্ষতার পরীক্ষা গ্রহণ, ৮. মৌখিক পরীক্ষা, ৯. মেডিক্যাল টেস্ট বা স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ১০. পুলিশ ভেরিফিকেশন, ১১. ক্যাডেট এসআই (নিরস্ত্র) হিসেবে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন আগ্রহী প্রার্থীদের এ লিংকে police.teletalk.com.bd প্রবেশ করে আবেদন করতে হবে। প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং আবেদনকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে এসএসসি, এইচএসসি, ডিগ্রি/স্নাতক/সমমান পরীক্ষার ফলাফল এবং উচ্চতার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত নিয়োগবিধি অনুযায়ী ওয়েববেজড প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে নির্দিষ্টসংখ্যক যোগ্য প্রার্থী শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাইকরণসহ শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষার জন্য নির্বাচন করা হবে। শারীরিক মাপ ও সহনশীলতা পরীক্ষা ওয়েববেজড প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিংয়ে বাছাই করা প্রার্থীদের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত তারিখ, সময় ও স্থানে শারীরিক মা
  এস.আই.-এর টুকিটাকি পুলিশের এই পদটি সেকেন্ড ক্লাস গেজেটেড ( ১০ম গ্রেড) অফিসার । সাব-ইন্সপেক্টরকে পুলিশের বাহিনীর মেরুদন্ড বলা হয় । কারণ, তারা ইনভেস্টিগেশন অফিসার হিসাবে প্রায় সকল মামলার তদন্ত করা সহ মাঠ পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করে । আর নিরস্ত্র মানে যারা মামলার তদন্ত করতে পারবে এবং অস্ত্র বহন করতে পারবে । সশস্ত্র পুলিশ সদস্যরা মামলা তদন্ত করতে পারবে না তবে অস্ত্র বহন করবে । বয়সসীমা বয়সসীমা নির্ধারণের তারিখ ১৯ হতে ২৭ বছর বাংলাদেশ পুলিশে সাব-ইন্সপেক্টর এসআই পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি *এসএসসি বা সমমান সনদপত্রে উল্লেখিত জন্ম তারিখই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় হতে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রির অধিকারি এবং কম্পিউটারে দক্ষতা সম্পন্ন হতে হবে। জাতীয়তাঃ   পুরুষ ও নারী উভয় প্রার্থীকে অবশ্যই জন্মসূত্রে বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে। বৈবাহিক অবস্থাঃ প্রার্থীকে অবিবাহিত হতে হবে (তালাকপ্রাপ্ত / তালাকপ্রাপ্তা গ্রহণযোগ্য নয়)। শারীরিক যোগ্যতা বিবরণ পুরুষ প্রার্থী নারী প্রার্থী উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি কমপক্ষে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি বুকের মাপ বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস
  লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস যেকোন রিটেন পরীক্ষায় টিকার জন্য প্রথমেই আপনার সিলেবাস সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকা আবশ্যক । তাহলে আপনি প্রতিযোগিতার অনেকটাই এগিয়ে যাবেন । লিখিত পরীক্ষাঃ সর্বমোট - ২৫০ নম্বর ক. ইংরেজি, বাংলা রচনা ও কম্পোজিশন - ১০০ নম্বর ( সময় ৩ ঘন্টা ) খ. গনিত ও সাধারণ জ্ঞান - ১০০ নম্বর ( সময় ৩ ঘন্টা ) গ.মনস্তত্ব পরীক্ষা - ৫০ নম্বর ( সময় ১ ঘন্টা ) বাংলাঃ ৫০ নম্বর ১. বাংলা রচনা - ১০ নম্বর (২ টির মধ্যে ১ টি লিখতে হবে ) ২. ভাবসম্প্রসারন - ১০ নম্বর ৩. বাংলা ব্যাকরণ- ১০ নম্বর ( বাগধারা, সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দ, এক কথায় প্রকাশ ) ৪. বাংলা সাহিত্য- ১০ নম্বর ৫. ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ - ১০ নম্বর ( ১ টি ইংরেজী অনুচ্ছেদ থাকবে বাংলায় অনুবাদ করতে হবে ) English: 50 Marks 1. Essay - 10 Marks ( 1 Out of 2) 2. Passage- 10 Marks ( Answering Question From Passage) 3.English Grammar- 10 Marks 4. Letter - 10 Marks 5. Translation - 10 Marks ( Bangla to English ) গনিতঃ ৫০ নম্বর ১. পাটিগণিত (২টি)- ২০ নম্বর (ঐকিক, গড়, অনুপাত ও সমানুপাত, শতকরা ও লাভ-ক্ষতি, সুদকষা, পরিমাপ) ২. বীজগণিত (২টি)- ২০ নম্বর (মান