Skip to main content

 

এস.আই.-এর টুকিটাকি


পুলিশের এই পদটি সেকেন্ড ক্লাস গেজেটেড ( ১০ম গ্রেড) অফিসার । সাব-ইন্সপেক্টরকে পুলিশের বাহিনীর মেরুদন্ড বলা হয় । কারণ, তারা ইনভেস্টিগেশন অফিসার হিসাবে প্রায় সকল মামলার তদন্ত করা সহ মাঠ পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করে । আর নিরস্ত্র মানে যারা মামলার তদন্ত করতে পারবে এবং অস্ত্র বহন করতে পারবে । সশস্ত্র পুলিশ সদস্যরা মামলা তদন্ত করতে পারবে না তবে অস্ত্র বহন করবে ।


বয়সসীমাবয়সসীমা নির্ধারণের তারিখ
১৯ হতে ২৭ বছরবাংলাদেশ পুলিশে সাব-ইন্সপেক্টর এসআই পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি


*এসএসসি বা সমমান সনদপত্রে উল্লেখিত জন্ম তারিখই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ

অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় হতে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রির অধিকারি এবং কম্পিউটারে দক্ষতা সম্পন্ন হতে হবে।


জাতীয়তাঃ 

পুরুষ ও নারী উভয় প্রার্থীকে অবশ্যই জন্মসূত্রে বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।


বৈবাহিক অবস্থাঃ

প্রার্থীকে অবিবাহিত হতে হবে (তালাকপ্রাপ্ত / তালাকপ্রাপ্তা গ্রহণযোগ্য নয়)।

শারীরিক যোগ্যতা

বিবরণপুরুষ প্রার্থীনারী প্রার্থী
উচ্চতাকমপক্ষে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চিকমপক্ষে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি
বুকের মাপবুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩২ ইঞ্চি এবং সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩৪ ইঞ্চি—————–
ওজনবয়স ও উচ্চতার সাথে ওজন অনুমোদিত পরিমাপের হতে হবেবয়স ও উচ্চতার সাথে ওজন অনুমোদিত পরিমাপের হতে হবে
দৃষ্টিশক্তি৬/৬৬/৬


এস.আই(নিরস্ত্র) বলতে কি বুঝায় :

নিরস্ত্র মানে অনেকে মনে করেন অস্ত্র বিহীন।  কিন্তু এটা ভুল ধারণা ।  নিরস্ত্র মানে যারা মামলার তদন্ত করতে পারবে এবং অস্ত্র বহন করতে পারবে । সশস্ত্র পুলিশ সদস্যরা মামলা তদন্ত করতে পারবে না তবে অস্ত্র বহন করবে ।

 

পুলিশের চাকরি, আবার এস.আই.!

পরীক্ষা দিয়ে লাভ নাই, টাকা ছাড়া চাকরি হবে না। এসব কথার দিন শেষ।   রিটেন+ভইভা মার্ক ভাল থাকলে ইনশাআল্লাহ হয়ে যাবে। তাই পড়াশোনা করুন। আমি দেখেছি, যারা পড়াশোনা করেছে তাদের সবারই কোন না কোন চাকরি হয়েছে। কারোর হয়ত আগে আবার কারোর হয়ত কিছু দিন পর। পড়ুন, পড়ুন এবং পড়ুন…..

পুলিশের এই পদটি সেকেন্ড ক্লাস গেজেটেড ( ১০ম গ্রেড) অফিসার । সাব-ইন্সপেক্টরকে পুলিশের বাহিনীর মেরুদন্ড বলা হয় । কারণ, তারা ইনভেস্টিগেশন অফিসার হিসাবে প্রায় সকল মামলার তদন্ত করা সহ মাঠ পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করে ।

পাস মার্কঃ  

বলা হয়ে থাকে পাস মার্ক ৫০% । সকল বিষয়ে আলাদা পাস করতে হয় । মনস্তত্বে ৫০% নম্বর না পেলে রেজাল্ট আসে না । (সঠিক তথ্য কেউ বলতে পারে না )

 নির্বাচিত হওয়ার পর এক বছরের মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহন করতে হবে । প্রশিক্ষণ  চলাকালে মাসিক ২ হাজার টাকা ভাতার পাশাপাশি বিনা খরচে খাওয়া, বাসস্থান, ইউনিফর্ম দেওয়া হয়।  একজন সাব-ইন্সপেক্টর ‘সরকারি বেতন স্কেল-২০১৫’ অনুযায়ী দশম গ্রেডের বেসিক ১৬০০০ থেকে ৩৮৬৪০ টাকা হারে বেতন পান। এছাড়া বিনা মূল্যে পোশাক, রেশন, ঝুঁকিভাতা, চিকিত্সাভাতা, যাতায়াতভাতা, মামলা তদন্ত ভাতা মিলিয়ে প্রথম দিকে প্রায় ৩০ হাজার টাকার মতো মাসিক বেতন পান।  এছাড়া বছরে পহেলা বৈশাখ, ঈদ কিংবা পূজায় উত্সবভাতা পান। বেতন ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।

যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারলে বিদেশে মিশনে যাওয়ারও সুযোগ মিলতে পারে।  জাতিসংঘের ফরমড পুলিশ ইউনিটের (এফপিইউ) মিশনে গেলে বছরে ৫০-৭০ লাখ টাকার মতো ভাতা পাওয়া যায়। সাব-ইন্সপেক্টর থেকে পদোন্নতি পেয়ে অ্যাডিশনাল এসপি বা অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হওয়া যায়।

কিছু সাধারন ব্যাপারঃ  

১. চোখে চশমা ইউজ এর জন্য কাউকে বাদ দেওয়া হয় না তবে আপনি মাঠে চশমা ইউজ না করাই ভালো । বিগত কয়েক ব্যাচে চোখের সমস্যা নিয়ে কাউকে বাদ দিয়েছে বলে শ্রদ্ধেয় অগ্রজ ভাইদের মুখে শুনিনি,কোন পোস্ট ও নজরে পড়েনি ।  

২. আপনার কানির সমস্যা,হাটু জোড়া লাগা,চোখের পাওয়ার,হালকা কাটা ছেড়া দাগ এসব নিয়ে প্রাথমিক পরীক্ষায় বাদ দেওয়া হয়না । এছাড়া সামান্য কাটা-ছেঁড়া থাকলে কোন সমস্যা হবেনা। 

৩. দাঁতের কোন সমস্যা, কোন কাটার দাগে বা ছোটখাটো চর্মরোগে কোন সমস্যা নেই । 

৪. আপনার হাইট অনুযায়ী ওজন বেশি হলে কিছুদিন রাতে এবং সকালে ভাত খাওয়া বাদ দিন সাথে দৌড়াদৌড়ি করুন । ওজন কম হলে তিনবেলা পেট ভরে খাওয়া দাওয়া করুন এবং মাঠে ওজন মাপার আগে ২ লিটার পানি খাবেন  । 

৫. আপনার স্থায়ী ঠিকানা যেখানে সেই অনুযায়ী আপনাকে মাঠে দাড়াতে হবে ।  

সুযোগ-সুবিধা:

১। শুরুতে প্রায় ত্রিশ হাজার টাকা বেতন + মামলা তদন্ত ভাতা ও টিএ, ডিএ + রেশন ও পোশাক + বিশেষ ইউনিট এর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভাতা । 

২। যোগ্যতা থাকলে পদোন্নতি পেয়ে ASP/ Addl.SP পর্যন্ত হওয়ার সুযোগ আছে । 

৩। যোগ্যতা প্রমাণ দিয়ে প্রতিটি ১বছরের সেট মিশনে ৫০-৭০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। সাধারণত চাকরি জীবনে ৩টার বেশি মিশন পাওয়া যায় না । 

৪। মিশন বা প্রশিক্ষনের সুবিধার্থে  বিনা খরচে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের সুযোগ । 

৫। সাধারণ মানুষ থেকে মন্ত্রী-এমপি পর্যন্ত যোগাযোগ ও প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় পর্যন্ত বিচরণ করার সুযোগ পাবেন । 

৫। এখানে চাকরির বৈচিত্র্য আছে । আপনি চাইলে ইউনিফর্ম পরে থানায় ব্যস্ততম জীবন-যাপন করতে পারেন অথবা পুলিশের অন্য ইউনিট-এ সিভিলের মতো এসি রুমে ৯টা-৫টা অফিস করতে পারেন ।  

৬।পারিবারিক ও সামাজিক নিরাপত্তা । 

৭। পূর্বে এসআই থেকে ইন্সপেক্টর(Popularly known as OC of a thana) এ প্রমোশন পেতে ১৫/১৬ বছর লেগে যেত । সরকারের আন্তরিকতায় বর্তমানে চাকরির মেয়াদ ৫ বছর ও ইন্সপেক্টরশীপ পাস করলেই প্রমোশন হয়ে যায় । 

৮। পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর টু আইজিপি পর্যন্ত পদের রাঙ্ক ব্যাজ এক ধাপ উন্নতি করার প্রক্রিয়া চলছে । আশা করি খুব শীঘ্রই হয়ে যাবে ।

অসুবিধা: 

১। চ্যালেঞ্জিং জব। সর্বদা বিচক্ষণ থাকতে হয় । 

২। মাঝে মাঝে চরম বিরূপ পরিবেশে কাজ করতে হয়। আপনার সামান্য ভুলের কারণে অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে । 

৩। আপনি সৎ হওয়া সত্বেও, কতিপয় লোক আপনার সমালোচনা করতে পারে ।

ছুটিঃ

প্রতিটি পুলিশ সদস্য বছরে যে কোন সময় গড় বেতনে অর্জিত ছুটি ৩০ দিন, নৈমিত্তিক ছুটি ২০ দিন ও পারমিশন লিভ ০৩ দিন ছুটি ভোগ করে থাকেন। সরকারি বন্ধ, শুক্রবার বা উৎসব অনুষ্ঠানে আলাদাভাবে ছুটি দেওয়া হয় না।

উৎসব ভাতাঃ

প্রতিটি পুলিশ সদস্য বছরে ০২ টি ঈদে ০২ টি উৎসবভাতা মূল বেতনের সমান পেয়ে থাকেন। যেমন মূল বেতন ৯০০০ টাকা হলে একটি উৎসবে ৯০০০ টাকা পেয়ে থাকেন। তাছাড়া নববর্ষ ভাতা বছরে ০১ টি মূল বেতনের ২০% ভোগ করে থাকেন।

বাংলাদেশ পুলিশের রেশন সামগ্রীঃ

বাংলাদেশ পুলিশের একজন সদস্য চাকরিতে যোগদান করার পর ০১ (এক) সদস্য রেশন সামগ্রী পেয়ে থাকেন। বিয়ে করার পর ০২ (দুই) সদস্য এবং সন্তান জন্ম নিলে সর্বোচ্চ ০২ সন্তানসহ ০৪ (চার) সদস্য রেশন পেয়ে থাকেন। পুলিশ সদস্যদের রেশনের মধ্যে সাধারণত চাল, ডাল, তেল, আটা, চিনি পেয়ে থাকেন। তাছাড়া অনেক সময় পোলাও চাল পেয়ে থাকেন। অনেকে মনে করেন পুলিশ সদস্যরা গুড়া দুধসহ অন্যন্য রেশন সামগ্রী পান বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

যে সকল রেশন সামগ্রী পুলিশ সদস্যরা পেয়ে থাকেন তা নিম্নরূপঃ

০১ সদস্য বিশিষ্ট রেশন

চাল-১১.০০ কেজি
আটা-১২.০০ কেজি
চিনি- ১.৭৫ কেজি
সয়াবিন তেল-২.৫০ লিটার
মশুর ডাল-৩.৫০ কেজি

০২ সদস্য বিশিষ্ট রেশন

চাল-২০.০০ কেজি
আটা-২০.০০ কেজি
চিনি- ৩.০০ কেজি
সয়াবিন তেল-৪.৫০ লিটার
মশুর ডাল-৫.৫০ কেজি

০৩ সদস্য বিশিষ্ট রেশন

চাল-৩০.০০ কেজি
আটা-২৫.০০ কেজি
চিনি- ৪.০০ কেজি
সয়াবিন তেল-৬.০০ লিটার
মশুর ডাল-৭.০০ কেজি

০৪ সদস্য বিশিষ্ট রেশন

চাল-৩৫.০০ কেজি
আটা-৩০.০০ কেজি
চিনি- ৫.০০ কেজি
সয়াবিন তেল-৮.০০ লিটার
মশুর ডাল-৮.০০ কেজি



Comments

Popular posts from this blog

  শারীরিক মাপ ও সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: দুই কপি প্রবেশপত্র তিন কপি রঙিন ছবি এসএসসি বা সমমানের সনদপত্র  এইচএসসি বা সমমানের সনদপত্র স্নাতক বা সমমানের সনদপত্র  কম্পিউটার দক্ষতার সনদপত্র চারিত্রিক ও নাগরিকত্ব সনদপত্র (নিজ ইউপি/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন থেকে নিতে হতে) জাতীয় পরিচয় পত্র চাকরিজীবী প্রার্থী হলে কর্তৃপক্ষের অনুমতিপত্র মুক্তিযুদ্ধের সনদ ও প্রত্যয়ন পত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) মটর ড্রাইভিং লাইসেন্স (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) অভিভাবকের সম্মতি পত্র অন্যান্য ধাপে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: ইনডেমনিটি ঘোষণাপত্রের এক কপি অভিভাবকের স্বাক্ষরসহ শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পূর্বেই যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিতে হবে। এটি আপনাকে প্রথম দিন দিয়ে দেয়া হবে। অবিবাহিত সনদপত্র (পুলিশ ভেরিফিকেশন এবং ভাইবার জন্য) সর্বশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়নপত্র (পুলিশ ভেরিফিকেশন এবং ভাইবার জন্য)  উপরোক্ত কাগজপত্র সমূহ ফটোকপি সহ সত্যায়িত করে সংরক্ষণ করবেন | এই কাগজপত্র সমূহ সাব ইন্সপেক্টর পরীক্ষার সহ প্রায় সকল চাকুরী...
  প্রার্থী বাছাইয়ের ধাপগুলো প্রার্থী বাছাই করা হবে পর্যায়ক্রমে মোট ১১ ধাপে— ১. অনলাইন রেজিস্ট্রেশন, ২. ওয়েববেজড স্ক্রিনিং, ৩. শারীরিক মাপ ও কাগজপত্র যাচাইকরণ, ৪. শারীরিক সক্ষমতা যাচাই বা Physical Endurance Test, ৫. ওয়েববেজড আবেদন ফরম পূরণ, ৬. লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ, ৭. কম্পিউটার দক্ষতার পরীক্ষা গ্রহণ, ৮. মৌখিক পরীক্ষা, ৯. মেডিক্যাল টেস্ট বা স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ১০. পুলিশ ভেরিফিকেশন, ১১. ক্যাডেট এসআই (নিরস্ত্র) হিসেবে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন আগ্রহী প্রার্থীদের এ লিংকে police.teletalk.com.bd প্রবেশ করে আবেদন করতে হবে। প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং আবেদনকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে এসএসসি, এইচএসসি, ডিগ্রি/স্নাতক/সমমান পরীক্ষার ফলাফল এবং উচ্চতার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত নিয়োগবিধি অনুযায়ী ওয়েববেজড প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে নির্দিষ্টসংখ্যক যোগ্য প্রার্থী শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাইকরণসহ শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষার জন্য নির্বাচন করা হবে। শারীরিক মাপ ও সহনশীলতা পরীক্ষা ওয়েববেজড প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিংয়ে বাছাই করা প্রার্থীদের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত তারিখ, সময় ও স্থানে শারীরি...